Mamata Banerjee: রবিবারের মধ্যে CBI-কে ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেও ডেডলাইন মমতার

পুলিশ তো ৯০ শতাংশ করেই ফেলেছিল। জানালেন মমতা। আরজিকরে চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে এবার মিছিল করবেন মমতাও। 

এর আগে রবিবারের মধ্যে তদন্তে একটা কূলকিনারা করার জন্য বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআইকে কার্যত ডেডলাইন দিয়ে দিলেন মমতা। তিনি বলেন, সঠিক পথে ফাঁসি হোক দোষীদের। আগামী রবিবারে মধ্যে সিবিআইকে ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে। এবং পুরোপুরি তদন্তের উদঘাটন করতে হবে। আমাদের কলকাতা পুলিশ তদন্তের ৯০ শতাংশ করে এনেছিল। এই দাবি নিয়ে আমি নিজে মিছিল করব। মৌলালির মোড়ে আমি তিনটের সময় মিছিল করব। ডোরিনা ক্রশিং পর্যন্ত মিছিল করা হবে। 

১৪ অগস্ট মাঝরাতে রাস্তার দখল নিলেন মেয়েরা। আর এবার ১৬ অগস্ট বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী নিজেই বেরোবেন বলে জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে আরজি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের। ইতিমধ্য়েই একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কেবলমাত্র একজন সিভিক ভলান্টিয়ার একলা কি এই ঘটনা ঘটিয়েছিল? নাকি এর পেছনে আরও কয়েকজন ছিল ?

এদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনে নেমেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌চিকিৎসকদের আবেদন জানাচ্ছি, তিনজন বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন। চিকিৎসা দিতে আপনারা অঙ্গীকারবদ্ধ। পাঁচদিন হয়ে গেল। পায়ে ধরে বলছি, তাতে যদি চরণযুগল ভাল থাকে। চিকিৎসা করুন। আন্দোলন করেছেন। কেউ আটকায়নি। এবার কাজে নামুন। সিনিয়র ডাক্তাররা পরিষেবা দিচ্ছেন, আমি কৃতজ্ঞ।’‌ 

মমতা বলেন, ‘‌১৭ তারিখ থেকে সারা বাংলায়, সব ব্লক, সব ওয়ার্ডে ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত বাম–রামের চক্রান্তের বিরুদ্ধে মিছিল ও আন্দোলন হবে। ১৮ তারিখ ধরনা হবে ব্লকে ব্লকে। ১৯ তারিখে রাখি। ২০ তারিখে আবার পথে নামব আমরা। সেই কর্মসূচি পরে জানিয়ে দেব।

এদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন,  ‘আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা ভয়াবহ। এই ঘটনায় আমাদের বিবেকে একটা ঝাঁকুনি লাগা উচিত। যেটা ঘটেছে সেটা গোটা বাংলার কাছে লজ্জার। দেশ তো বটেই, মানবজাতির কাছেও লজ্জার।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব বাংলা এবং ভারতকে মহিলাদের থাকার জন্য নিরাপদ স্থান গড়ে তোলা। এটা আমাদের বড় দায়িত্ব। যদি এখন আমরা সুযোগ হারাই তাহলে ভবিষ্যতে আর নাও পেতে পারি। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। তা হলেই সাফল্য আসবে। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, ‘ওঠো, জাগো, লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত থেমো না।’ এই স্থির সংকল্প নিয়ে নিশ্চিত করতে হবে, আমাদের মেয়েরা যাতে সুরক্ষিত থাকে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *